করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবছরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই বাতিল করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কীভাবে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে তা এখনও ঘোষণা করেননি তিনি। সোমবারও এনিয়ে কোনও ঘোষণা করল না রাজ্য সরকার। তবে দু’একদিনের মধ্যেই বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়ে দেবে বলে আজ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করছে পর্ষদ, সংসদ এবং শিক্ষা দফতর। দু’একদিনের মধ্যেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। আমি চাই, পড়ুয়ারা যাতে বিপদে না পড়ে, তাদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়। পড়ুয়াদের যাতে কোনওরকম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয় তা নিশ্চিত করবে শিক্ষা দফতর।”
সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।করোনা আবহে ইতিমধ্যেই একাধিক বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর সেই একই পথে হাঁটে রাজ্য সরকারও। এবছরের মতো বাতিল করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে সেই বিষয়ে নিজের মত পড়ুয়াদের উপর চাপিয়ে দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিলেন মমতা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল ওই কমিটি। এরপর পরীক্ষা হওয়া উচিত কিনা তা পড়ুয়া, অভিভাবক ও আমজনতার কাছে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে ছিলেন বলে জানান তিনি। তারপরই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলেছে যে এই সময় পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। যেহেতু মহামারী চলছে, অনেক স্কুল সেফ হাউস হয়ে গিয়েছে। নানা রকম ব্যাপার আছে। তাই আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিচ্ছি না।”