শুরু ২০০ বছরের রথ যাত্রার প্রস্তুতি

বালুরঘাট : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের তিওর বিনশিরা রথের মেলা উত্তরবংগের অন্যতম প্রাচীন মেলা।প্রায় ২০০ বছর আগে এই রথ যাত্রার সুচনা করেন বিনশিরার জমিদার সর্বেশ্বর লাহা। যদিও আজ কালের নিয়মে জমিদার প্রথা ঘুচে যাওয়ায় বর্তমানে বাৎসরিক রথ যাত্রা পালিত হয় পরিবারের একেক বছর একেক শরিকি মালিকানায়। যদিও পুর্বে এই জগঅন্নাথ দেবের নামে নিজস্ব জমি ছিল প্রায় ২৫০ বিঘা। পরে সরকার বেশির ভাগ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলেও বর্তমানে ৬৭ বিঘা জমি এই দেবত্তর জগন্নাথের নামে রয়েছে। সেই জমি থেকে উপার্জিত টাকা দিয়েই সারা বছর দু বেলা নিত্য পুজো ভোগ আরতি চলে বিনশিরার এই প্রাচীন জগন্নাথ সুভদ্রা আর বলরাম দেবের মন্দিরে।

প্রত্যেক বছর রথযাত্রার দিনে প্রাচীন রীতি মেনে বিনশিরা জমিদার বাড়িতে পুজো হয় জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামের। মন্দির প্রাঙ্গণে হরিনাম সংকীর্তনের বসে আসর। রথযাত্রা ঘিরে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। নামে ভক্তের ঢল। শুধু জেলা থেকেই নয় জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা মালদা, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি থেকেও ভক্তরা ছুটে আসেন এই মেলায় এসে জগন্নাথ সুভদ্রা আর বলরামদেবের দর্শন পেতে।পা ছুয়ে প্রনাম করতে।বিকেলে রথের দড়ি টেনে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামকে মাসীর বাড়িতে নিয়ে যান ভক্তরা। এই রীতি যুগ যুগ ধরে আজও চলে আসছে।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দী প্রাচীন বিনশিরার রথ স্থাপনের ইতিহাস। জমিদার সর্বেশ্বর লাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র অসুস্থ হওয়ায় তিনি জগন্নাথ দেবের কাছে পুত্রের আরোগ্য কামনা করে মানত করেছিলেন। মনস্কামনা পূরণ হওয়ার পরে ওড়িশার পুরী থেকে একটি নিম গাছ কেটে পাণ্ডাদের দিয়ে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের মূর্তি তৈরি করে বিনশিরায় নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের মূর্তি স্থাপন করে রীতি মেনে পুজা শুরু করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here